বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মিজান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে তার মামার সহায়তায় চট্টগ্রাম শহরের একটি মোবাইল সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করে। বেতন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ জমা করে তিন বছর পর ছোট পরিসরে নিজে একটি মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার গড়ে তোলে। শহরের নানান জায়গা থেকে পুরনো এবং নষ্ট মোবাইল কম দামে সংগ্রহ করে তা মেরামতপূর্বক সাতকানিয়া, লোহাগড়া, চকরিয়ার বিভিন্ন দোকানে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে বিক্রয় করে। মাঠ পর্যায়ে পুরনো মোবাইল বিক্রির জন্য কলেজপড়ুয়া ৬ জন শিক্ষার্থীকে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়। তার সার্ভিসিং সেন্টারে ৪ জন পূর্ণকালীন কাজ করে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি স্নাতক পাস করা মিলান তার এলাকায় একটি সংগঠনের পক্ষ হয়ে সপ্তাহে একদিন মোবাইল সার্ভিসিং-এর ওপর ফ্রি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এতে অনেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
ক) প্রশিক্ষণ কাকে বলে?
খ) সঠিক কর্মী নির্বাচন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
গ) মিজানের কোন কাজটি উদ্বুদ্ধকরণমূলক? বর্ণনা করো।
ঘ) “উদ্দীপকের মিজানের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডই প্রশংসনীয়” বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করো।